মহান আল্লাহ মুমিনদেরকে পার্থিব জীবনে এবং পরকালে মজবুত বাক্য দ্বারা অবিচল রাখেন। (ইবরাহীম ১৪/২৭)
এখানে পরকালের একটি অর্থ হচ্ছে, কবর। বারা ইবনে আযেব কাজিয়া হতে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদীছে কুদসীতে 'আনহ এসেছে, আসমান থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দেন যে, আমার বান্দা সত্য বলেছে। অতএব, তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোষাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জান্নাত পর্যন্ত একটি দরজা খুলে দাও, যেদিক দিয়ে তার কাছে জান্নাতের সুবাতাস ও সুঘ্রাণ আসবে। আর যত দূর তার চোখ যায়, তত দূর পর্যন্ত তার কবরকে সম্প্রসারিত করা হবে।
পক্ষান্তরে,
মৃত ব্যক্তি কাফের হলে সে ফেরেশতাদ্বয়ের প্রশ্নোত্তরে ব্যর্থ হবে। ফলে একজন ঘোষণাকারী এমর্মে ঘোষণা দিবেন যে, সে মিথ্যা বলেছে। অতএব, তার জন্য জাহান্নামের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জাহান্নামের পোষাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জাহান্নাম পর্যন্ত একটি দরজা খুলে দাও, যেদিক দিয়ে তার কাছে জাহান্নামের তাপ ও বিষ আসবে। আর তার কবরকে তার জন্য এমন সংকীর্ণ করা হবে যে, তার পাঁজরের হাড়-হাড্ডি একটি আরেকটার মধ্যে ঢুকে যাবে।
অতঃপর কাফেরের জন্য লোহার হাতুড়ি দিয়ে একজন অন্ধ এবং বধির ফেরেশতা নিযুক্ত করা হবে; ঐ হাতুড়ি দিয়ে যদি পাহাড়কেও মারা হয়, তবুও পাহাড় মাটি হয়ে যাবে।
ফেরেশতা ঐ হাতুড়ি দিয়ে তাকে এমন আঘাত করবেন, মানুষ ও জিন ব্যতীত সবাই তার চিৎকার শুনতে পাবে। অতঃপর সে মাটির সাথে মিশে যাবে, তারপর তার মধ্যে আবার রূহ প্রদান করা হবে।
(সুনানে আবূ দাঊদ, হা/৪৬৭৮)
১৯০৫ সালে যে বঙ্গভঙ্গ মুসলমানের প্রাণের দাবি ছিল। হিন্দু জমিদাররা আনদোলন করে সে বঙ্গভঙ্গকে বাতিল করলো। বঙ্গভঙ্গকে যখন বাতিল করা হলো তখন মুসলমানদের সান্তনা দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেই মুসলমানদের জমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলো সেই বিশ্ববিধালয়ে মুসলমানদের মেয়েদের পর্দা করতে বাধা দেওয়া হয়।
১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা হলো। ১৯৪০ সালে মুসলমানদের আলাদা দেশ লাগবে এই প্রস্তাব কোনো পাকিস্তানি বা অন্য কেউ দেয়নি। প্রস্তাবটি দিয়েছিল একজন মুসলিম , তিনি হলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।
অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে শেখ মজিবুর রহমানের যে আলোচনা গুলো করেছেন সেটা ছিল মুসলমানদের আলাদা দেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এবং এই আন্দোলনে তিনি নিজে শরিক ছিলেন।
এবং শেখ মুজিবুর রহমান তার এই বইয়ে অনেক জায়গায় উল্লেখ করেছেন যে মুসলমানদের আলাদা দেশ না হলে মুসলমানদের অস্তিত্ব টিকবে না।
এবং হিন্দুরা কি পরিমান মুসলমানদের উপর অত্যাচার করতো। এর বর্ণনা তার এই (অসমাপ্ত আত্মজীবনী) বই থেকে পাওয়া যায়।
শেখ মুজিবুর রহমান তার এক হিন্দু বন্ধুর বাড়িতে গেলে, তার বন্ধুকে তাদের ঘর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে বাধ্য করে। কারণ তার বাড়িতে একজন মুসলিম (শেখ মুজিবুর রহমান) এসেছিলো।
শেখ মুজিবুর রহমান যখন গোপালগঞ্জে প্রথম শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী যায়। তখন একটি সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তিনি একবার জেলে যান।
জেলে যাওয়ার পর বিচারক ছিল হিন্দু। শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন " হিন্দু বিচারক হওয়ায় তিনি জামিন পান নি। "
যখনই তিনি মুসলমানদের আলাদা দেশের জন্য বক্তব্য দিতেন তখন তিনি ফরায়জী আন্দোলন, তিতুমীর এর আন্দোলন , সিপাহী বিদ্রোহ এবং ওহাবী আন্দোলন এর কথা বলতেন।
এবং বলতেন মুসলমানদের আলাদা দেশ লাগবে।
ঢাকা বিশ্বিদ্বালয়ে বাংলার তিন বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন ও শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক এর কবর আছে।
তারা মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশ লাগবে এই মর্মে আন্দোলন করেছিলেন।
সুতরাং এই মুসলিমদের (বাংলাদেশের ) দেশের ইতিহাস মূলত ১৯৭১ নয় , এর আগে থেকে।
উনারা মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশ লাগবে বলে আন্দোলন করেছেন। আর যদি বলা হয় উনারা ছিলেন বিদেশী আর দখলদ্বার এবং পাল আর সেনেরা ছিল এদেশের অতীত এবং ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ এবং মৃত্য নির্ধারণ করার জন্য দ্বিতীয় কিছুর প্রয়জন নাই।
বাংলাদেশকে প্রতিটি মুসলমান তরুণ -যুবকদের জানতে হবে এই দেশের ইতিহাস। কোথায় থেকে শুরু দেশ।
ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজির দেশ হচ্ছে মুসলমানদের স্বাধীন বাংলাদেশ।
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এর (শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম স্বাধীন সুলতান ছিলেন) দেশ হচ্ছে মুসলমানদের স্বাধীন বাংলাদেশ।
নবাব মির্জা মুহম্মদ সিরাজউদ্দৌলার দেশ হচ্ছে মুসলমানদের স্বাধীন বাংলাদেশ।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর যে আলাদা বাংলাদেশ মুসলমানদের কেন্দ্র করে যেটার সীমানা (বাংলাদেশ এর মানচিত্র পেয়েছে ১৯৪৭ সালে ) গোটা আসাম , কলকাতা , দিনাজপুর , মালদা, করিমগঞ্জ , মুর্শিদাবাদ এই বাংলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু জোর পূর্বক নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেওয়া হয়নি।
lectured by Abdullah bin Abdur Razzak